সুপ্রিয়া দেবীর হঠাৎ অবসর, বিপাকে প্রযোজক
স্টুডিয়ো সংবাদদাতা: উত্তমকুমারকে পরিচালকরূপে দেখা নিঃসন্দেহে এক স্মরণযোগ্য ঘটনা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, পীযুষ বসুর আকস্মিক প্রয়াণের পর ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’ (Kalankini Kankabati) ছবি পরিচালনার দায়িত্ব হাতে নেন উত্তমকুমার। সম্প্রতি নিউ থিয়েটার্স এক নম্বর স্টুডিয়োতে শর্মিলা ঠাকুরকে নিয়ে ওই ছবির এক প্রস্থ শুটিং হয়ে গেল।
‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’র প্রযোজক সুব্রত মুখোপাধ্যায় এ ছবি নিয়ে কেবলই বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। ছবিটি তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে দীর্ঘদিন কিন্তু পীযূষবাবু ব্যস্ত কিংবা শিল্পীদের ডেট সমস্যা থাকায় এতদিন ছবি শুরু করা যায়নি। শুরু হওয়ার পরেও ফাঁড়া কাটছে না। কয়েকদিন শুটিং করে সুব্রতবাবু বম্বে গেলেন। সেখানে রাহুলদেব বর্মনকে দিয়ে গান করাতে। শোনা যায় সেখানেও নাকি কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি।
আর পড়ুন: শেষ নাহি যে
যাই হোক, গান শেষ করে কলকাতায় ফিরে তিনি পীযুষবাবুর মৃত্যু সংবাদ পেলেন। এর কয়েকদিন পরেই সুপ্রিয়া দেবী (Supriya Devi) অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন! এ ছবিতে সুপ্রিয়া দিন সাতেক শুটিং করেছেন। আর মাত্র দিন তিনেকের কাজ বাকি। এমন সময় এহেন সংবাদ যে সুব্রতবাবুকে বিমূঢ় করে দেবে তাতে আর আশ্চর্য কি? গ্রহের ফের কি একেই বলে?
সেদিন আশা ভোঁসলের গাওয়া একটি গানের পিকচারাইজ়েশন হচ্ছিল। নৃত্য সহযোগে উজ্জ্বল পোষাকে ওই গানে লিপ মেলাচ্ছিলেন শর্মিলা। শ্রোতা বা দর্শক হিসাবে অনেকের সঙ্গে ছিলেন অসিতবরণ। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ক্যামেরা বসিয়ে দৃশ্যটি গ্রহণ করা হলো। নীহাররঞ্জন গুপ্তের মূল উপন্যাস অবলম্বনে এ ছবিতে অভিনয় করছেন উত্তমকুমার (রাজশেখর), সুপ্রিয়া দেবী (সুরেশ্বরী), মিঠুন চক্রবর্তী (শশাঙ্কশেখর), শমিত ভঞ্জ (সূর্যকান্ত), সোমা চৌধুরী (স্বর্ণময়ী) সন্তু মুখোপাধ্যায় (রঘুবীর), রবীন বন্দ্যোপাধ্যায় (রাঘব), শম্ভু ভট্টাচার্য (মুরারী) ও অসিতবরণ (ওস্তাদজি)। উৎপল দত্তেরও একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করার কথা আছে।
প্রথম প্রকাশ: ঘরোয়া, কার্তিক ১৩৮৬
Edited and Published by Prabuddha Neogi
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল ফলো করুন





